স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নৌকা ডুবিতে পানিতে তলিয়ে গেছে এক মহিষ। তবে মহিষটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দেড়টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার শেখ হাসিনা সড়কের পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে লোহারদুব এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চারটি মহিষ এক রশিতে বেঁধে রাখার কারণে তিনটি মহিষ তীরে উঠতে পারলেও একটি নিচের দিকে তলিয়ে যায়। তলিয়ে যাওয়া মহিষটি আপ্রাণ চেষ্টা করে বাঁচার জন্য। শেষ পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যায়।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া বাজার থেকে ৪ টি মহিষ ও ১ টি গরু নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কোরবানি পশুর হাটে নিয়ে আসার জন্য ছোট একটি নৌকাযোগে রওয়ানা হন। দুপুর দেড়টায় শেখ হাসিনা সড়কের মনিপুর লোহারদুব এলাকায় আসলে হঠাৎ মহিষ বোঝাই নৌকাটি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় নৌকায় থাকা ৪ টি মহিষ ও ১ টি গরুর (ষাঁড়) মধ্যে ৩ টি উদ্ধার করা গেলেও একটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। তবে তলিয়ে যাওয়া মহিষটি উদ্ধার করা যায়নি। মহিষটির আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন মহিষটির মালিক শফিক মিয়া। শফিক মিয়া একই উপজেলার চর ইসলামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর বড় বাড়ির মৃত আবজু মিয়ার ছেলে।
মহিষের মালিক শফিক মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, তার শ্বশুর একই উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামের মালু মিয়া। জামাই-শ্বশুর মিলে গত ঈদুল ফিতরের ঈদের পর ৪ টি মহিষ ও ১ টি গরু (ষাঁড়) কিনেন কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য।
শফিক মিয়া আরো জানান, গতকাল শনিবার চম্পকনগর পশুর হাটে মহিষগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যান। সেখানে তলিয়ে যাওয়া মহিষটি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম হয়। কিন্তু আরো বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে আজ রবিবার শ্বশুর বাড়ি লক্ষীমুড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসার পথে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব না।
পত্তন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাইফুল ইসলাম মর্মান্তিক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, নৌকা ডুবির খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গরু ও তিনটি মহিষ উদ্ধার করেন। আরেকটি মহিষ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। তবে পানির অতিরিক্ত স্রোতের কারনে তলিয়ে যাওয়া মহিষটি উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, অতিরিক্ত লোডের কারণে এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply